পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়াতে আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পাঁচটি সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে আসন্ন বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব হবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের দপ্তরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের পুঁজিবাজারে মহাধসের ফলে বহু বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়েছেন। পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ৩৪ জন বিনিয়োগকারী আত্মহননের পথ বেছে নেন। পুঁজিবাজারের পতনের দায় তৎকালীন সরকারের উপর পড়েছিল। এরপর থেকে পুঁজিবাজার আর পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী স্থিতিশীলতা পায়নি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ বর্তমানে এগিয়ে থাকলেও পুঁজিবাজারের মন্দাভাবের কারণে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আসন্ন বাজেটে পাঁচটি সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ
অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা শর্তে ১০ শতাংশ কর প্রদান করার শর্তে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে, বাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে ও দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
করপোরেট ট্যাক্স কমানো
বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ বলবৎ রয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার আরও ৭.৫ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি করছি। এতে নতুন ভালো ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। যার ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।
লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার
লভ্যাংশের ওপর থেকে দ্বৈত প্রত্যাহার করতে হবে। কোম্পানিগুলো লভ্যাংশের ঘোষণার পূর্বে সরকারকে অগ্রীম যে ট্যাক্স দিয়ে থাকে সেটাকে চূড়ান্ত ট্যাক্স হিসাবে গণ্য করতে হবে। ভাল লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় তখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী হবে। এতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বাড়বে এবং পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমবে।
নূন্যতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফার নূন্যতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসাবে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। উপযুক্ত পরিমান লভ্যাংশ পাওয়ার প্রত্যাশায় পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে।
পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান
পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতে বাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পুঁজিবাজারের দুঃসময়ে ওই প্রতিষ্ঠানসমূহ পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে সক্ষম হবে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
এএ