যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে দুর্নীতি করে অন্যায়ভাবে অর্থ নিয়ে গেছে তাদের আবার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এটা চরমভাবে অনৈতিক। এ থেকে আসলে কোনও অর্থ আসবে না বলে মনে করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি।
শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর লেক শোর হোটেলে জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ পর্যালোচনা করেন সিপিডির গবেষকরা।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৭ শতাংশ কর দিয়েই বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেওয়ার কথা জানান।
এ বিষয়ে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই ধরণের উদ্যোগ নৈতিকতা পরিপন্থী। যারা সৎ করদাতা তাদের নিরুৎসাহিত করা, নৈতিকভাবে তাদের ডিমোরালাইজড (নীতিভ্রষ্ট) করার একটা প্রচেষ্টা। অন্যদিকে, যারা অবৈধ উপায়ে অর্থ-সম্পদ বাইরে নিয়ে যায়, তাদের কিন্তু প্রকারান্তরে উৎসাহিত করা হয়েছে।
নতুন বাজেটে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে আটকে রাখার যে লক্ষ্য ধরেছেন তা কোনোভাবেই সম্ভব নয় জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, বর্তমান চড়া মূল্যের বাজরে অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে রাখার যে প্রাক্কলন করেছেন তা বাস্তবতার সঙ্গে কোনও মিল নেই। সরকারি হিসাবেই এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসের দাম বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর থেকেই বিশ্ববাজারে বাড়ছে পণ্যমূল্য।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী এই সংকটকালে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে কীভাবে আটকে রাখবেন আমাদের কাছে তা বোধগম্য নয়।
এএ