বিশ্বের সংকটকালে প্রবৃদ্ধির উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এমন উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যঞ্জক। তবে সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও যথাযথ পরিকল্পনা নিশ্চিত করা না গেলে বাস্তবায়নে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে সরকারকে।
শনিবার (১৮ জুন) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের (২০২২-২০২৩) ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিসিআই’র সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ), সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধূরী বাবুসহ এমসিসিআই এবং বিসিআই’র পরিচালক ও সদস্যরা।
এতে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা উল্লেখ করা হলেও তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থা জোরদার করার প্রস্তাব করছি। আবার বাজেটের ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ কোটি টাকার উপর প্রভিশনকে শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায় হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়নসহ বিষয়গুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।
বিসিআই জানায়, বর্তমান সংকটময় বিশ্ব পরিস্থিতিতে সব ক্ষেত্রে অপচয় কমিয়ে আনতে হবে। খাদ্য পণ্য উৎপাদন, বিপণন এবং পরিবহন পর্যায়ে অপচয় ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি। সম্পদ অপচয় কমিয়ে এনে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা। আবার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বর্তমান সংকটময় বিশ্ব অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমাদের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোতে। প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরিপোশাক শিল্পের ন্যায় সব ধরনের রপ্তানিমুখী কোম্পানির করও ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এটি বিসিআই’র দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন। তবে রপ্তানি ক্ষেত্রে উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমরা মনে করি।
এএ