কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মাঠে এই মুহূর্তে তেমন কোনো ফসল না থাকায় বন্যায় ধান জাতীয় ফসল উৎপাদনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ মঙ্গলবার (২১ জুন) মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তবে ধানে প্রভাব না পড়লেও বন্যায় শাক-সবজি উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে চেরাপুঞ্জিতে অস্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়াতে তিন-চার দিনে প্রায় ২ হাজার ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটা ১২২ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। ফলশ্রুতিতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ এলাকায় অস্বাভাবিক পানি ঢুকে। এই মুহূর্তে কোনো ফসল তেমন মাঠে ছিল না।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে প্রচুর জমি পতিত থাকতো। মানুষ চাষাবাদে তেমন একটা আগ্রহী ছিল না। আমরা সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছি এই জমিগুলোতে চাষাবাদ করার এবং এতে আউশ ধান করা যায় কি না, সে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমরা দেখছি বন্যায় সিলেটের ২২ হাজার হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। সুনামগঞ্জ হবিগঞ্জ মিলে প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে।’
‘আজ আমরা খবর পাচ্ছি কুড়িগ্রাম, নীলফামারী এই এলাকায় যে পানি আসছে তাতে ৫৬ হাজার একর জমির ক্ষতি হয়েছে। মানে আউশ ধান আক্রান্ত হয়েছে। যদিও আউশ উঁচু জমিতে হয়। বন্যা যদি আর না বাড়ে, এখন যে অবস্থায় আছে তাতে আর ক্ষতি হবে না।’
বন্যায় শাক-সবজি উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫-৬ হাজার হেক্টরে। এ সময় গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। তিল ও বাদাম চর এলাকায় ছিল সেটারও ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে আউশ ও শাক-সবজির।’
সানবিডি/এনজে