দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতে বর্তমানে ছয়-সাত ঘণ্টা ব্যয় হয়। এই যাত্রাকে দুই ঘণ্টায় নামিয়ে আনতে উচ্চ গতির ট্রেন চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
পরিকল্পনা সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানান, পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে চীন রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপের কাছে প্রতিবেদন পেশ করেছে সরকার। এক্সপ্রেস রেলওয়ের সঙ্গে কক্সবাজারকে যুক্ত করা সম্ভব হলে পর্যটন শহরের ভ্রমণ অনেক সহজ হবে।
তারা জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে ১০টি ট্রেন চালানোর জন্য ৩০০০ একর জমি ও নিরবিচ্ছিন্ন ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। এর আওতায় পরিচালিত ট্রেনে যাত্রী ও পণ্য উভয় পরিবহন হলেও যাত্রীদের অগ্রাধিকার থাকবে।
তারা আরও জানান, গত ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রেলওয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পের একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন।
এসময় রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।