ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই খাদ্যশস্য ও সূর্যমুখী তেল রফতানিতে শুল্ক ফর্মুলায় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে রাশিয়া। ডলারের পরিবর্তে রুবলে শুল্ক আদায়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মস্কো। গম, ভুট্টা, যব ও সূর্যমুখী তেলের ভিত্তিমূল্য বাড়িয়ে রফতানি শুল্ক কমানো হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় এমনটা জানায়। খবর রয়টার্স।
গৃহীত নতুন নীতিমালা, চলতি মাসে প্রতি টন সূর্যমুখী তেল রফতানিতে ৮ হাজার ৪০৮ রুবল ৭ কুপেকা (১৬৩ ডলার ৩ সেন্ট) শুল্ক দিতে হবে। এর আগে জুলাই মাসের জন্য প্রতি টন সূর্যমুখী তেল রফতানিতে শুল্ক ছিল ৫৬০ ডলার ১ সেন্ট।
শুক্রবার প্রতি টন সূর্যমুখী তেল রফতানির জন্য ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ৮২ হাজার ৫০০ রুবল (১ হাজার ৪৪৭ ডলার)। এর আগে প্রতি টন সূর্যমুখী তেলের ভিত্তিমূল্য ছিল ১ হাজার ডলার। এ সময় বাজার যাচাইয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের দেয়া মূল্যনির্দেশক অনুযায়ী প্রতি টন তেলের দাম ১ হাজার ৮০০ ডলার ২ সেন্ট নির্ধারণ করে শুল্কহার বসানো হয় বলে জানায় রুশ কৃষি মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, রফতানির জন্য শুল্ক আরোপে প্রতি টন গমের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার রুবল (২৮৩ ডলার ৬৮ সেন্ট)। এর আগে প্রতি টন গমের ভিত্তিমূল্য ছিল ২০০ ডলার।
এক পৃথক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ৬-১২ জুলাই পর্যন্ত প্রতি টন গম রফতানিতে ৪ হাজার ৬০০ রুবল (৮৫ ডলার ৮ সেন্ট) শুল্ক দিতে হবে। ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতি টন গমের রফতানি শুল্ক ধরা হয়েছে ১৪৬ ডলার ১ সেন্ট। একই সময়ে যব ও ভুট্টা রফতানিতে শুল্কহার নির্ধারণের জন্য ভিত্তিমূল্য পরিবর্তন করে ১৩ হাজার ৮৭৫ রুবল (২৪৩ ডলার ৪২ সেন্ট) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। বর্তমানে শস্য দুটির ভিত্তিমূল্য ১৮৫ ডলার।
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর কয়েক ধাপে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে অর্থনীতি। ফলে প্রতিনিয়তই লজিস্টিকস ও পেমেন্টসংক্রান্ত জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশটিকে। অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে রুবলের উচ্চমূল্যের কারণে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে রফতানি শুল্কও। বিষয়গুলো খাদ্যশস্য রফতানিকে খাদের কিনারে ঠেলে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভিত্তিমূল্যে পরিবর্তন ও শুল্কহার কমিয়ে আনে রাশিয়া। ফলে রফতানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে খাদ্যশস্য ও তেলবীজের দামও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সানবিডি/এনজে