ভোমরা স্থলবন্দরে সদ্যবিদায়ী অর্থবছরে ২১২ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানান, পণ্য আমদানিতে অসম প্রতিযোগিতা, বন্দরের সক্ষমতা না বাড়ায় এ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি কম হয়েছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গিয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় (সংশোধনী) ৯৫৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ওই লক্ষ্য সামনে রেখে ১২ মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৪ কোটি ৫২ লাখ, আগস্টে ৫৭ কোটি ৬৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৭৩ কোটি ৩০ লাখ, অক্টোবরে ৭১ কোটি ২৮ লাখ, নভেম্বরে ৭৪ কোটি ২৮ লাখ, ডিসেম্বরে ৫৫ কোটি ২৭ লাখ, জানুয়ারিতে ৫৯ কোটি ২০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৬২ কোটি ৪১ লাখ, মার্চে ৯৩ কোটি ৯৮ লাখ, এপ্রিলে ৫৭ কোটি ৪৬ লাখ, মে মাসে ৪৩ কোটি ৪৪ লাখ ও জুনে ৪৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি পড়েছে ২১২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
সূত্রটি আরো জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-জুন পর্যন্ত ১ হাজার ১২১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় হয় ৭৬০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ফলে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৩৬০ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, বন্দরটি ব্যবহার করে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে দিলে রাজস্ব ঘাটতি পড়ত না। এছাড়া বন্দরে পণ্য আমদানিতে নানা বৈষম্যের কারণে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার। পার্শ্ববর্তী বেনাপোল বা অন্য বন্দরগুলো যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায় তার কিছুই ভোমরা বন্দরে দেয়া হয় না।
এনজে