গণতন্ত্র ধ্বংসই শুধু নয়, বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করে। স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভূ বিএনপিই এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এবং ভোট তথা ভাতের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে আসছে।
সোমবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি দেশের জনগণকে আতঙ্কিত করে। কারণ তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের নামে জনগণের ওপর যে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল, তার দগদগে ক্ষত এখনও দেশবাসীর মানসপটে অমলিন। মির্জা ফখরুল কথায় কথায় সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সরকারকে অবৈধ অভিহিত করে সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধ করছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত আওয়ামী লীগ এ দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর। দেশের গণতন্ত্র হারিয়ে যায় নাই যে তা ফিরিয়ে আনতে হবে। বরং প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপির সব কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়েছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি ধারায়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলে। আওয়ামী লীগ জনগণের প্রভু নয়, সেবক হয়ে থাকতে চায়। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারও বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়নি। মির্জা ফখরুল গায়েবি মামলার কথা বলে রাজনীতিতে গায়েবি আওয়াজ তোলার অপচেষ্টা করছেন। যেহেতু জনগণের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই, সেহেতু তারা গায়েবি ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতেই আস্থা রাখে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতির সাম্রাজ্য বিস্তার ও ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে গণবিরোধী অবস্থানের কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত।
তিনি বলেন, দীর্ঘ স্বৈরশাসন ও বিএনপির অপরাজনীতিকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগই প্রমাণ করেছে রাষ্ট্রক্ষমতা দম্ভ প্রদর্শনের জন্য নয়; ক্ষমতা দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। সরকারি পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় গণআকাঙ্ক্ষা ধারণ করে। যার মধ্য দিয়ে জনগণের শাসন তথা গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এগিয়ে চলেছে। কোনো অপশক্তির ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে সক্ষম হব। জয় আমাদের হবেই, ইনশাল্লাহ।
এম জি