খুলনায় স্ত্রী ও এক বছরের শিশু কন্যাকে হত্যার দায়ে স্বামী মাহাবুবুর মোড়লকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে খুলনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর শফিকুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহবুবুর মোড়ল ডুমুরিয়া উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের সিরাজ মোড়লের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে মাহবুবুর মোড়লের সঙ্গে রেশমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এর জের ধরে প্রায় সময়ই মাহবুবুর স্ত্রী রেশমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।

২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট সকালে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাহবুবুর মোড়ল স্ত্রী রেশমাকে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা বললে সে সেখানে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহবুবুর মোড়ল স্ত্রী রেশমা বেগম ও তার এক বছরের শিশু মেয়েকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ জোড়া হত্যার পর মাহবুবুর মোড়ল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে মাহবুবুরের পিতা সিরাজ মোড়ল নিহত গৃহবধূ রেশমার পিতাকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম নিহতের স্বামী মাহবুবুর মোড়লকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক জানান, আসামি মাহবুবুর মোড়ল আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

এম জি