চলমান বৈশ্বিক সংকটের মুখে মিয়ানমার আগামী তিন বছরের মধ্যে চাল রপ্তানি দ্বিগুণ বাড়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে চালের মানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাইস ফেডারেশনের সভাপতি ইয়ে মিন অং।
আজ বুধবার (৬ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষিপণ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাল রপ্তানি করে মিয়ানমার। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ টন চাল রপ্তানি করছে দেশটি। তবে ইয়ে মিন অং জানিয়েছেন, ২০২৫ সাল নাগাদ চাল রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৪০ লাখ টনে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার। চীন, ইউরোপ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে চাহিদা বাড়ায় রপ্তানি বাড়াতে চলেছে জান্তাশাসিত দেশটি।
স্থানীয় পর্যায়ে চাল উৎপাদন কমে যাওয়ার পরও রপ্তানি বাড়ানোর এই পরিকল্পনা নিয়েছে মিয়ানমার। ইয়ে মিন অং বলেন, দেশের কিছু অংশে অস্থিতিশীলতার কারণে উৎপাদন পাঁচ শতাংশ কম হতে পারে। তবে চালান পাঠানো যাবে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রতিরোধযোদ্ধাদের সংঘর্ষ চলছে। দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তার হুমকি ক্রমেই বাড়ছে। সেখানকার সাড়ে পাঁচ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশই খাদ্য সংকটে ভুগছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। বাড়ছে উৎপাদন খরচও। ২০১৯ সালের তুলনায় সারের দাম এখন ৩ দশমিক ৬ গুণ বেশি। কৃষকদের জন্য উচ্চফলনশীল জাতের বীজ কেনা ও পাওয়া দিনদিন দুষ্কর হয়ে উঠছে।
তবে মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের সভাপতি বলছেন, রপ্তানি করা এবং স্থানীয়ভাবে গ্রহণ করা চালের ধরন আলাদা। দেশে জনগণের চাহিদা মেটানোর মতো যথেষ্ট চাল রয়েছে। মিয়ানমারে এখন সেচ ও ফসল উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন তিনি।
এনজে