বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্য ক্যারিবীয়রা টপকে যায় ১৮ দশমিক ২ ওভারে।
রান তাড়ায় ক্যারিবীয়দের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
টাইগার বোলিংয়ের তোপে ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর পুরান ও কাইল মেয়ার্সই ম্যাচটিকে বাংলাদেশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। মেয়ার্স ৩৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন, হাঁকান পুরানের সমান ৫টি ছক্কা।
চতুর্থ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পুরান ও মেয়ার্স। বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম আহমেদ ৪৪ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পান।
এর আগে, টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৩ তুলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই সংগ্রহে বড় অবদান আফিফ হোসেন ও লিটন কুমার দাসের। বাংলাদেশ দলের এই দুই সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের অবশ্য আক্ষেপ রয়েছে। লিটন আউট হন অর্ধশত থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে, আর আফিফ ফিফটি করার পরপরই ফিরেন সাজঘরে।
দলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে দলপতি মাহমুদ উল্লাহর ব্যাট থেকে। শেষ দিকে ৬ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ক্যারিবীয়দের সবচেয়ে সফল বোলার হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র, ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে শিকার করেছেন ২টি উইকেট। ম্যাচ ও সিরিজসেরা হয়েছেন নিকোলাস পুরান। টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে উইন্ডিজের কাছে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৩/৫ (লিটন ৪৯, এনামুল ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, সোহান ২*, মোসাদ্দেক ১০*; মেয়ার্স ০/১৪, ম্যাককয় ০/২৯, আকিল ০/৩১, স্মিথ ১/৩৪, শেফার্ড ১/১৯, ড্রেকস ০/৬, ওয়ালশ জুনিয়র ২/২৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.২ ওভারে ১৬৯/৫ (কিং ৭, মেয়ার্স ৫৫, ব্রুকস ১২, স্মিথ ২, পুরান ৭৪*, পাওয়েল ৫, আকিল ৩*; নাসুম ২/৪৪, মেহেদি ১/২১, সাকিব ১/১০, মোসাদ্দেক ০/৩৪, মুস্তাফিজ ০/২৭, শরিফুল ০/১৩, আফিফ ১/১০, মাহমুদউল্লাহ ০/৭)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ তে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নিকোলাস পুরান।
এএ