ভেতরে পুরোদমে কাজ চলছে। হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার।দিশেহারা শ্রমিকরা। প্রাণ বাঁচাতে শুরু করে এদিক ওদিক ছোটাছুটি। কিন্তু বাইরে থেকে গেট বন্ধ।ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার ৫৪টি তাজা প্রাণ।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের এক বছর আজ।
২০২১ সালের ৮ জুলাই বিকেলে ছয়তলা ভবনের ওই কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫৪ জন নিহত হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৮টি ইউনিট একটানা ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। মামলা হয় কারখানার মালিকসহ ৮ জনের নামে।
মামলার পর হাসেম ফুড কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হলে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠান বিচারক। পরে তারা জামিনে বের হন।
ভয়াবহ সেই ট্রাজেডির কথা মনে হলে আজও আঁতকে ওঠেন স্বজনহারারা।ভুলতে পারেন না সেদিনের সেই স্মৃতিগুলো।
আগুনে ঘটনায় পুলিশের করা মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয় ১৭ জুলাই। সিআইডি আলামত সংগ্রহ, সাক্ষ্যগ্রহণসহ ১০টি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করে। তবে এরইমধ্যে পেরিয়ে গেছে এক বছর। সংস্থাটি এখনও তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
তদন্তে সময় লাগার কারণ সম্পর্কে সিআইডির এ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি জটিল ছিল।কারণ বেশ কিছু তদন্ত রিপোর্ট দেখা, ডিএনএ রিপোর্টসহ মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেয়া। এখানে অনেক বিষয় দেখার ছিল। তদন্তগুলো পর্যালোচনা করছি। ফলে তদন্তে একটু সময় লেগেছে। তবে তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে। যেকোনো সময় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এএ