অনুমতি ছাড়া শেয়ার-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় এবং স্থানান্তর করতে পারবে না এসএমই-এটিবির কোম্পানিগুলো। শেয়ারবাজারের ওটিসি মার্কেট থেকে এটিবি ও এসএমই মার্কেটে স্থানান্তর হওয়া কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা/পরিচালকরা কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি কিংবা স্থানান্তর করতে পারবেন না।
এছাড়াও এসব কোম্পানি নতুন করে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে না। গত ৭ জুলাই শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, ওটিসি মার্কেট থেকে এটিবি বা এসএমই মার্কেটে স্থানান্তর হওয়া কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা/পরিচালকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়, বিক্রয়, কিংবা শেয়ার স্থানান্তর করতে পারবে না। কোম্পানিগুলোর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও কমিশন এবং কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের অনুমতি ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় কিংবা স্থানান্তর করা যাবে না বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও, ওটিসি থেকে এটিবি এবং এসএমইতে স্থানান্তর হওয়া কোম্পানিগুলোর পরিচালকদেরকে সমন্বিতভাবে কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। আর প্রত্যেক উদ্যোক্তা/পরিচালককে এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশে আরও জানানো হয়, এসব কোম্পানি চাইলেও বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। কারণ এসব কোম্পানি চাইলেও পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে নতুন করে শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত বা স্থানান্তরিত হওয়ার আগে ওটিসি কোম্পানিগুলির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শেয়ার ডিম্যাট আকারে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটের ৪১টি কোম্পানিকে এটিবি এবং এসএমই মার্কেটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এসএমই মার্কেটের লেনদেন শুরু হয়। আর এটিবিতে স্থানান্তরিত হওয়া কোম্পানিগুলোও লেনদেন শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।