বিশ্ববাজারে হঠাৎ তেলের দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিগগিরই প্রত্যাশা অনুযায়ী উৎপাদন বাড়াচ্ছে না সৌদি আরব। এরপরই জ্বালানি পণ্যটির দরে উলম্ফন দেখা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ার নেপথ্যে আরও কারণ দেখানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রত্যাশার চেয়ে কম সুদের হার বাড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে আশায় বুক বাঁধছেন বিনিয়োগকারীরা।
আগামী সেপ্টেম্বরের ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের সরবরাহ মূল্য ৭৬ সেন্ট বা শুন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) প্রতি ব্যারেল এ তেল বিক্রি হয়েছে ৯৯ দশমিক ৮৬ ডলারে।
অন্যদিকে, আসন্ন সেপ্টেম্বরের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ।এদিন প্রতি ব্যারেল এ তেল বিক্রি হয়েছে ৯৬ দশমিক শূন্য ৬ ডলারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ফেড জানিয়েছে, ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার বাড়াতে পারে তারা। চলতি মাসে নীতি নির্ধারণী বৈঠকে এমনই আলোচনা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীরা যা অনুমান করেছিলেন, সেটির চেয়ে এটি নিঃসন্দেহে কম।
সুদের হার নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং দুর্বল অর্থনৈতিক ডাটার কারণে গতকাল ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার কমে যায়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারির পর যা সর্বোচ্চ। এর একদিন পরই ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থার (ওপেক) সদস্যদের উত্তোলন ক্ষমতা কমছে। এরই মধ্যে প্রত্যাশানুযায়ী জ্বালানি পণ্যটি উৎপাদন করবে না সৌদি আরব বলে জানালেন মার্কিন কর্মকর্তা।
উপসাগরীয় মিত্র সম্মেলনে উপস্থিত হতে ইতোমধ্যে সৌদি আরব সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আশা করা হচ্ছে, সেখানে তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোকে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেবেন তিনি। যাতে আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল থাকে।
এএ