আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। বিশ্ববাজারে মূল্যবান ধাতুটির দামে বড় পতন হওয়ায় বাংলাদেশেও এর দাম কমানোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
শনিবার বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
স্বর্ণের বিশ্ববাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গেলো এক মাসের বেশি সময় ধরে বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দাম নিম্নমুখী রয়েছে। যার ফলে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে স্বর্ণের দাম।
শুধু স্বর্ণই নয়, এর পাশাপাশি রুপা ও প্লাটিনামের দামেও বড় পতন ঘটেছে বিশ্ববাজারে। এক মাসের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। রুপার দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া প্লাটিনামের দাম কমেছে ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ঈদুল আজহার তিনদিন আগে ৭ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়। সে সময় সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৩৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫০ টাকা কমিয়ে ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫৯ টাকা কমিয়ে ৫৩ হাজার ৪৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে দেশের বাজারে এই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হবে কি না জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমার বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। তবে এটাও দেখতে হবে স্বর্ণের দাম কমলেও টাকার বিপরীতে ডলার ও দিরহামের দাম বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এসব বিষয় আমাদের বিবেচনায় নিতে হয়। শনিবার বিকেলে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠক আছে। ওই বৈঠকের মাধ্যমে আমরা স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
এএ