বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পর্যাপ্ত সম্ভাবনা থাকার পরও বর্তমান পরিসংখ্যান সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থায় উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাজধানী নমপেনে বাংলাদেশ এবং কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয়পক্ষ বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে জোর দেয়।
ঢাকার পক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অন্যদিকে নমপেনের পক্ষে কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখন নেতৃত্ব দেন। উভয়পক্ষ দুই দেশের সম্পর্কের গুরত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ সেতু হিসেবে বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ড. মোমেন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উভয়পক্ষ বাণিজ্য, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, ওষুধ, খাদ্য নিরাপত্তা, জনশক্তি, আইসিটি, পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিষয়গুলোতে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে পর্যালোচনা করে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনাধীন সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সইয়ের ব্যাপারে তারা জোর দেন। উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও গতি বাড়াতে উচ্চ পর্যায়ের সফরে সম্মত হন।
ড. মোমেন বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন ত্বরান্বিত করতে কম্বোডিয়ার আরও সক্রিয়া ভূমিকা চান।
বৈঠক শেষে মোমেন ও সোখনের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং কম্বোডিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়।
এএ