ফের মাংস আমদানি শুরু করার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে ভারত। বর্তমানে মাংস আমদানি বন্ধ থাকায় এই পণ্য আমদানির সঙ্গে জড়িত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে ভারতের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়।
সম্প্রতি বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, গত এপ্রিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা আমদানি নীতি ২০২১-২৪ প্রজ্ঞাপন অনুসারে, হিমায়িত মহিষের মাংসসহ সকল ধরনের মাংস আমদানির জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। এ ঘটনায় ভারতের রপ্তানিকারক ও বাংলাদেশি আমদানিকারক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশর আমদানি নীতির পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক মাসে কোনো হিমায়িত গরুর মাংস আমদানি না হওয়ায় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
অল ইন্ডিয়ান বাফেলো অ্যান্ড শিপ মিট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইএমএলইএ) এবং বাংলাদেশ মিট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমআইটিএ) বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সমাধানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে হিমায়িত হাড়বিহীন গরুর মাংস আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। ফলে এই মাংসের প্রতি কেজির দাম ৪ ডলার থেকে বেড়ে ৫ ডলারে দাঁড়ায়। এই নির্দেশনার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (সাফটা) সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভারতের রপ্তানিকারকরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে ৮ দশমিক মিলিয়ন টন মাংস উৎপাদন হয়েছে দেশে।
বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪টি দেশ থেকে মাংস আমদানি করে, যার সবচেয়ে বড় উৎস ভারত।
এএ