প্রতিবন্ধী শিশু চায়না খাতুনকে (১১) হত্যার দায়ে তার চাচাসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার বেলকুচি উপজেলার ছোট বেড়া গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন (৩৩) ও একই গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আকবর আলী (৪৪)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, বেড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সাদ্দম হোসেন চাচাতো ভাইদের শায়েস্তা করার জন্য আপন বড় ভাইয়ের বাক প্রতিবন্ধী শিশু কন্যা চায়না খাতুনকে (১১) হত্যার পরিকল্পনা করেন। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আকবর আলী।
২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে চায়না খাতুন সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। রাতের খাবার শেষে চায়না ঘুমিয়ে পড়ে। পরে সাদ্দাম হোসেন চায়না খাতুনকে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির বাইরে এনে গলা টিপে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য চাকু দিয়ে চায়না খাতুনের গলা কেটে লাশ ফেলে রেখে চলে যান সাদ্দাম। পরের দিন সকালে বেড়া খারুয়া চরে চায়না খাতুনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে চায়না খাতুনের বাবা জহুরুল প্রামানিক ঘটনাস্থলে এসে জমি নিয়ে বিরোধে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এবং থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য সাদ্দাম হোসেন ইউপি সদস্য আকবর আলীর প্ররোচনায় আপন ভাতিজী চায়না খাতুনকে হত্যা করেন। পরে পুলিশ সাদ্দাম হোসেন ও আকবর আলীকে গ্রেপ্তার করে। তারা দুজনের হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
এম জি