আসামের করিমগঞ্জের সরকারি হাসপাতালের সেবিকা লিলি বেগম লস্কর গত ছয় মাস ভীষণ রকম ব্যস্ততায় কাটিয়েছেন। এ ব্যস্ততা গেছে তার ৮৫ বার সন্তান জন্ম দিতে!
কী? চোখ কপালে উঠে গেলো? লিলি বেগম বাকরুদ্ধ করে দেওয়া এমনই এক কাণ্ড ঘটালেন যে, খোদ রাজ্যের কর্মকর্তাদেরই হুঁশ হারানোর দশা।
ঘটনা আসলে কী? স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গ্রামাঞ্চলের মায়েদের জন্য সরকারের পরিচালিত একটি তহবিল থেকে অনুদান নিতে লিলি নিজেকে ছয় মাসে ৮৫ বার সন্তান জন্ম দেওয়া মা হিসেবে দেখিয়েছেন।
অবশ্য এই ‘কীর্তির’ পর লিলি এখন আসাম পুলিশের জালে। পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, গ্রামীণ এলাকায় বাড়ির পরিবর্তে নারীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিরাপদে সন্তান জন্মদানে উদ্বুদ্ধ করতে একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে সরকার। এ প্রকল্পের অধীনে নতুন মা হওয়া নারীকে ৫০০ রুপি করে ভাতা দেওয়া হয়।
এই সুযোগটি নেন সরকারি হাসপাতালের সেবিকা লিলি। প্রকল্পটির অনুদান আদায়ে তিনি নিজের হাসপাতালে গত ছ’মাসে ১৬০টি শিশুর জন্ম হয়েছে বলে কাগজ তৈরি করেন। আর এরমধ্যে ৮০ সদ্যোজাত শিশুরই মায়ের জায়গায় তার নিজের নাম লেখা। এভাবে‚ প্রতিবারের মাতৃত্বে ৫০০ টাকা করে মোট ৪০ হাজারের বেশি টাকা পেয়ে যান লিলি।
এসব বিষয়ে আসামের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই তাদের করিমগঞ্জের হাসপাতাল নিয়ে সন্দেহ ছিল। কাগজপত্র খতিয়ে দেখতেই ধরা পড়ে কারচুপি। ধরা পড়েন অভিযুক্ত সেবিকা লিলি।
পুলিশের দাবি, লিলি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। তবে পুলিশ মনে করে, হাসপাতালের অন্য কর্মীও এই জালিয়াতিতে জড়িত। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।