বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে আবারও নবম দুর্বলতম হয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। আগে থেকে ভিসা না করিয়ে বিশ্বের মোট ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে মাত্র ৪১টিতে ভ্রমণ করা যায় এটি দিয়ে। ২০২২ সালের হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স এর তৃতীয় প্রান্তিক সংস্করণ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) র্যাংকিং সারণীটি প্রকাশ করেছে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। এতে ১২২ স্থানের মধ্যে ১০৪তম স্থান লাভ করেছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। বাংলাদেশের সাথে একইস্থানে রয়েছে কসোভো ও লিবিয়া।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত হেনলির দ্বিতীয় প্রান্তিকের সংস্করণেও বাংলাদেশ একই অবস্থানে ছিল।
তবে জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের সংস্করণে ১১১টি স্থানের মধ্যে ১০৩তম হয়েছিল বাংলাদেশ।
তার আগে ২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের সারণীতে ১১৬টি স্থানের মধ্যে ১০৮তম স্থান লাভ করে বাংলাদেশী পরিচয়ের ভ্রমণ নথিটি, যা ওই বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।
হেনলির সদ্য প্রকাশিত সারণী অনুসারে, যে ৪১টি গন্তব্যে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা না নিয়ে যেতে পারেন, তারমধ্যে ১৬টির অবস্থান আফ্রিকায়, ১১টি ক্যারিবিয় এবং সাতটি ওশেনিয়া অঞ্চলে (অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বাদে)। আর ছয়টি এশিয়া ও একটি দক্ষিণ আমেরিকার গন্তব্য।
আগে থেকে ভিসা না করে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে কোনো ইউরোপীয় দেশে ভ্রমণ করা যায় না।
অন্যদিকে, হেনেলি ইনডেক্সের শীর্ষ স্থানে থাকা জাপানের পাসপোর্টধারীরা রেকর্ড সংখ্যক ১৯৩টি দেশ ও গন্তব্যে আগাম ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া, এ দুই দেশের নাগরিকরা ১৯২টি দেশ ও গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই প্রবেশাধিকার পান।
যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি ও স্পেন; দেশদুটির পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ১৯০টি গন্তব্যে।
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী হলো- দ্বীপপুঞ্জ রাষ্ট্র মালদ্বীপের পাসপোর্ট (৬৩ তম) এটি ৮৯টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুবিধা দেয়। এরপর রয়েছে ভারত (৮৭তম), ভুটান (৯৩তম) ও শ্রীলঙ্কার (১০৩ তম) পাসপোর্ট ।
দক্ষিণ এশিয়ায় নেপাল (১০৬ তম) ও পাকিস্তানের (১০৯ তম) চেয়ে কিছুটা এগিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এই অঞ্চলের দেশগুলোসহ বিশ্বের মধ্যে পাসপোর্ট সক্ষমতায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে আফগানিস্তান। আফগান পাসপোর্টধারীরা মাত্র ২৭টি গন্তব্যে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুবিধা পান।
এএ