ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। ড্রোন ব্যবহার করে ছাদে জমে থাকা পানি ও মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাসা-বাড়ি ও যেকোনো ভবনে এডিসের লার্ভা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মিত মামলা ও জরিমানা করা হবে।
বুধবার (২০জুলাই) দুপুরে ডিএনসিসির ৩৯ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন খিলবাড়িরটেক এলাকায় ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসি ডেঙ্গুর প্রকোপ নির্মূলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়, পুরোপুরি নির্মূলের জন্য জনগণকেও এই দায়িত্ব নিতে হবে। বর্তমানে চলমান আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে এবং পরক্ষণেই রোদ হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় এডিস মশা বেড়ে যায়। আপনারা এই সময় অনেক বেশি সতর্ক থাকুন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দিন। তথ্য দিলে আমরা আপনাদের শাস্তি দিব না। বরং আমরা তথ্য পেলে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে। এর ফলে আপনার পরিবারের সদস্যসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাবে।
প্রচার অভিযানে অন্যদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, মহাব্যবস্থাপক (পরিবহন) ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত, ৩৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর নিলুফার ইয়াসমিন ইতি এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এম জি