স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন প্রয়োজনী জনবল সংকটের কারণে ১৬ কোটির বেশি মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য ১০-১৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলোতে চিকিৎসকের এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, আমাদের আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। এমনকি হাসপাতালগুলোতে পরিমাণের তুলনায় আসন সংখ্যাও অপ্রতুল। সেদিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা এবং কার্যকর পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে দেশের জনসংখ্যাকে পরিকল্পিত উপায়ে গড়ে না তুলতে পারলে দেশের সকল উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য দেশের জনসংখ্যা হতে হবে পরিকল্পিত। আর এমনিতেই দেশের ১৬ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দিতে দিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটি- যা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। পৃথিবীর ধারণ ক্ষমতা এক হাজার থেকে ১২০০ কোটির বেশি নয়। বাংলাদেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার ১২০০ লোক বাস করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যে সম্পদ আছে, তা সবাই যেন সমানভাবে পায় এবং ভবিষ্যৎ যেন সুরক্ষিত হয়, এটাই এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য। দেশের সাড়ে ১৬ কোটি লোকের জন্য আমাদের স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য, চিকিৎসা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব আমরা এসব সুবিধা বৃদ্ধি করে যাচ্ছি। কিন্তু সব কিছুরই একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর দেশে ৩০ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করেন। ২০ লাখ নতুন লোক কর্মসংস্থানে যোগ দেয়। এই ২০ লাখ মানুষকে সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা দিতে হয়। এটা অত্যন্ত কঠিন। জনসংখ্যা যদি প্রতি নিয়ত বেড়েই যায়, তাহলে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জনসংখ্যা একটি সঠিক মাত্রায় রাখতে হবে। সম্পদের সাথে জনসংখ্যার সামঞ্জস্য রাখতে হবে। ১৬ কোটি লোকের স্বাস্থ্য সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রতি দশ হাজার লোকের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন লোক রয়েছে। আমাদের পাশের দেশেও এই জনবল ২৫ থেকে ৩০ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাহিদা আরও বেশি।
এনজে