বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রম প্রত্যাশার চেয়ে জোরালো ছিল বলে মত দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
এশিয়ার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবানের লক্ষ্যে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির চলতি বছরের জুলাইয়ের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের (এডিও) ক্রোড়পত্রে এমন মত দেয়া হয়েছে।
এডিও প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার, যাতে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
ক্রোড়পত্রের উপ-অঞ্চলভিত্তিক প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির আউটলুকে বলা হয়, সবশেষ দাপ্তরিক হিসাব অনুযায়ী, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২ (২০২১-২২) অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২ শতাংশ। যদিও এডিবি বিগত অর্থবছরের জন্য ৬.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল।
আউটলুকে বলা হয়, বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে শিল্প (১০.৪ শতাংশ) ও সেবা (৬.৩ শতাংশ) খাতের হাত ধরে, তবে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি কমে ২.২ শতাংশ হয়েছে।
এডিওতে উল্লেখ করা হয়, ‘রপ্তানি ও আমদানি প্রত্যাশার চেয়ে জোরালো ছিল, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বেসরকারি বিনিয়োগ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার ইঙ্গিত। বেসরকারি খাতের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাও এ পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে।’
এডিবির আউটলুকে বলা হয়, ২০২২ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত ছিল, তবে বিশ্বজুড়ে খাদ্য এবং জ্বালানির (ডিজেল, কেরোসিন ও প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম বাড়ায় ২০২৩ সালের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাসে সামান্য পরিবর্তন এসেছে।
এডিওর তালিকা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.১ শতাংশ। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সেটি কমে হয় ৫.৯ শতাংশ।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ৬.২ শতাংশ। মার্চে মূল্যস্ফীতি অপরিবর্তিত ছিল, তবে এপ্রিল ও মে মাসে সেটি বেড়ে হয় যথাক্রমে ৬.৩ ও ৭.৪ শতাংশ।
এএ