নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে একে অপরের সঙ্গে কতোটা স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ। বেশিরভাগ নারী তাদের জীবনে এমন একজন পুরুষকে কামনা করে যার সঙ্গে সারা জীবন হাসতে হাসতে কাটিয়ে দিতে পারবে। এজন্যই নারীদের প্রথম পছন্দ রসিক পুরুষ।
একঘেয়ে নয়: রসবোধসম্পন্ন পুরুষেরা একঘেয়ে হন না। তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ততা সংক্রামক এবং এমন পুরুষের সংস্পর্শে তরুণী-যুবতীরাও স্কুল বালিকার মতো হেসে কুটি কুটি হয়ে লুটিয়ে পড়েন। এমন পুরুষের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়া খুবই আনন্দের। নির্বিকার চিত্তে একটা গাছের পাতা পরাতেও হেসে উঠতে পারেন তাঁরা। এমন পুরুষের সঙ্গে অভিসার অবিরাম উত্তেজনাময়, কেননা আপন স্বভাবেই তাঁরা ক্লান্তিহীন এবং সঙ্গীকেও সারাক্ষণ ক্লান্তিহীন করে রাখেন।
সৃষ্টিশীল: ভালো রসবোধসম্পন্ন মানুষেরা আসলে অনেক বিষয়ে এতটাই জানেন যে, অনায়াসেই সৃজনশীল উপায়ে তাঁরা সেসব সরসভাবে তুলে ধরতে পারেন।
সামাজিক: রসিক লোকেরাই যেকোনো উৎসবে অনুষ্ঠানের প্রাণভোমরা হয়ে ওঠেন। যেকোনো গুমোট নীরবতায় হাসির ফোয়ারা বইয়ে দিতে যথাসময়ে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুক করে ফেলতে পারেন তাঁরা। এমন লোককে কোনো আচার-অনুষ্ঠানে অচেনা লোকজনের মধ্যে ছেড়ে যেতেও কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না সঙ্গীদের। কাজ সেরে ফিরে এসে হয়তো দেখবেন যে, ওই আসরটা এখন তিনিই মাতাচ্ছেন।
ভালো পর্যবেক্ষক: সত্যিকারের রসিক ব্যক্তিরা সমাজ-সংসারকে খুবই ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন বলেই তাঁরা সেসব নিয়ে রসিকতাও করতে পারেন। চারপাশে কী ঘটছে, তা বুঝতে না পারলে যেকোনো কিছু নিয়েই তাঁরা কৌতুক করবেন কী করে।
সাবলীল: ভালো রসবোধসম্পন্ন মানুষের পাশে আপনি সব সময়ই সাবলীল থাকতে পারবেন। তাঁর উপস্থিতি আপনার ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে না। নারীরা এমন মানুষের সঙ্গে থাকলে নিরাপদ ও সাবলীল বোধ করে।
বন্ধুদের বন্ধু: রসিক মানুষেরা মিশুক হন। তাই এমন পুরুষেরা সহজেই নারী সঙ্গীটির বন্ধুদের বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন। আর এমন মানুষের সঙ্গ কার না ভালো লাগে, ফলে বন্ধুরাও তাঁকে গ্রহণ করে নেয়।
আত্মবিশ্বাসী ও আবেগী: একজন প্রকৃত রসিক মানুষই কেবল নিজেকে নিয়ে রসিকতা করেও চারপাশের মানুষকে আনন্দ দিতে পারেন। খুব আত্মবিশ্বাসী না হলে এমনটা করা সহজ নয়। তাঁকে দেখে হয়তো অতটা আত্মবিশ্বাসী মনে না-ও হতে পারে, কিন্তু তিনি অবশ্যই নিজেই নিজেকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। তবে, মনে রাখা দরকার তাঁর রসবোধের মতোই আবেগটাও কিন্তু তীব্র, হয়তো তিনি তা প্রকাশ করেন না। তাই সাবধান, এমন মানুষকে জেনেশুনে কোনো কষ্ট দেবেন না যেন, তিনি আবেগী হয়ে উঠলে সামলানো মুশকিল হবে।
মুখে হাসি ফোটানো: এমন মানুষের সঙ্গে আপনি কখনোই রাগ করে থাকতে পারেন না। তিনি নিজে হাসুন বা না-ই হাসুন, সঙ্গীর মুখে হাসি ফোটাবেনই। তাঁর ছোট্ট একটা কথাতেই হয়তো আপনি ভুলেই যাবেন, কেন তাঁর সঙ্গে রাগ করেছিলেন। হাসাতে হাসাতে কাঁদিয়ে ফেলে আপনার ভেতরের রাগ অভিমান ঝরিয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন তিনি।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ