নিয়মিতভাবে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) এবং কূটনীতিকদের দক্ষতা উন্নয়নে উভয় দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কেনিয়া।
রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা সফররত কেনিয়া প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সমঝোতা স্মারক দুটি সই করা হয়।
ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও কেনিয়ার পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দ্বিপক্ষীয় ও রাজনৈতিক সম্পর্ক) মই লেমোশিরা সমঝোতা স্মারক সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস।
এমওইউ সইয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, আজ আমরা প্রথমবারের মতো কেনিয়ার সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন করেছি। দুই দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতাও সই হয়েছে। আমরা যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি এর আওতায় কেনিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক, ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, কৃষি, আইসিটি এবং অন্যান্য নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র আঞ্চলিক ও মাল্টিলেটারেল এরিয়াস নিয়ে আলোচনা করব। এগুলোতে আমরা সহযোগিতা নিয়ে স্ট্রাকচার ফরমেটে আলোচনা করতে পারব।
সচিব মাশফি বলেন, আলাপ খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। কেনিয়া বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যু। তারা কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। চুক্তি এবং বৈঠকের মাধ্যমে সহযোগিতার নতুন মাত্রা উন্মোচন হলো।
কেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দ্বিপক্ষীয় ও রাজনৈতিক সম্পর্ক) মই লেমোশিরা বলেন, আমরা দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছি। এটা একটা সফল দ্বিপাক্ষিক এনগেজমেন্ট। এতে করে বাংলাদেশ-কেনিয়ার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। আমরা এখানে এসেছি, দু’দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে আরও সামনে নিয়ে যেতে।
লেমোশিরা বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের একসঙ্গে কাজ করার মতো অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমরা আইসিটি সেক্টরে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। এছাড়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য কেনিয়ায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের সুযোগ নিতে পারেন।
এএ