বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন- বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ জানিয়েছেন, দেশে এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই। বর্তমানে ৩২ দিনের ডিজেল মজুদ আছে। অকটেনের মজুদ আছে ৯ দিনের।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে আগামী ৬ মাসে ডিজেল আমদানি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিপিসি জানায়, দেশে ডিজেল মজুদ আছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন, অকটেন ১২ হাজার ২শ ৩৮ মেট্রিক টন ও জেট ফুয়েল আছে ৬২ হাজার ৯শ ৯১ মেট্রিক টন। গ্রাহককে নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেল দেওয়ার বিষয়ে কোনো পেট্রোল পাম্পকেই নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলেও জানান বিপিসির চেয়ারম্যান। কেউ নিজ উদ্যাগে এমনটি করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।
বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির বিভিন্ন ডিপোতে এবং ইস্টার্ন রিফাইনারিতে এসব জ্বালানি তেল সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মজুদ ক্ষমতা দিয়ে দেশে ৪৫ দিনের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করা যায়। যদিও জ্বালানি নীতিমালায় দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ৬০ দিনের মজুদ ক্ষমতা গড়ে তোলার বিষয়টি উল্লেখ আছে।
বিপিসির কর্মকর্তা জানান, দেশে ডিজেলের মজুদ ক্ষমতা ৬ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। অকটেন মজুদ ক্ষমতা ৪৬ হাজার মেট্রিক টন, পেট্রল ৩২ হাজার মেট্রিক টন, কেরোসিন ৪২ হাজার মেট্রিক টন। আর ফার্নেস অয়েল মজুদ রাখা যায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
চলতি মাসের ২৫ দিনের জ্বালানি তেল বিক্রির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে দৈনিক ডিজেলের চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার ৪৫৩ মেট্রিক টন। ফার্নেস অয়েলের চাহিদা দৈনিক ২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। অকটেন চাহিদা ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। পেট্রোলের চাহিদা ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এছাড়া জেট ফুয়েল দৈনিক ১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন করে বিক্রি হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিজেলের ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার আগে বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। সরকারি এই ঘোষণার পর একদিনের ব্যবধানে ডিজেল বিক্রি কমেছে প্রায় ৭ হাজার ২০০ মেট্রিক টন।
এএ