কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড বাংলাদেশে এটিই একমাত্র কারখানা যেখানে রয়েছে একটি স্যাটেলাইট ক্লিনিক। কুমুদিনি মেডিকেল কলেজের পরিচালনায় এই ক্লিনিকে শ্রমিকরা ৫০ শতাংশ খরচ দিয়ে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। বাকি ৫০ শতাংশ খরচ বহন করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
এ ক্লিনিক সম্পর্কে কারখানার পরিচালক আকবর হায়দার মুন্না বলেন, ‘একজন শ্রমিক অসুস্থ থাকলে কারখানার উৎপাদনশীলতা কমে যায়। এজন্যই আমরা এ ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। এ ক্লিনিক চালাতে আমাদের যে অতিরিক্ত খরচ হয় তা শ্রমিকরা অসুস্থ থাকলে উৎপাদনে যে ক্ষতি হতো তার চেয়ে কম। এই কারখানাটিতে কাজ করে চার হাজারেরও বেশি শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা। নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদান ছাড়াও এখানে নিশ্চিত করা হয় সব সুযোগ-সুবিধা।’
তিনি জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অবস্থিত এ কারখানাটি সবুজে ঘেরা ২২ একর জমির ওপর অবস্থিত। ভবনগুলোয় সুশৃঙ্খলভাবে কাজ করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। ভবনগুলোর মাঝখানে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। একেক ভবনে একেক সেক্টরের কাজ চলে। এটি একটি কম্পোজিট কারখানা হওয়ায় নিটিং (বুনানো) থেকে শুরু করে স্যুইং (সেলাই) পর্যন্ত সম্পন্ন করার পর সরাসরি পণ্য রপ্তানি হয় এখান থেকেই। সবকিছু এখানে আলাদা ভবনে স্বাস্থ্যসম্মত পন্থায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়। পরিবেশবান্ধব এ কারখানায় রয়েছে বিশাল জায়গাজুড়ে নিজস্ব বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) ও পানি শোধনাগার (ডব্লিউটিপি)। যা একটি কারখানা কমপ্লায়েন্ট হওয়ার অন্যতম শর্ত।
তিনি আরো জানান, ওয়েকো টেক্স, কন্ট্রোল ইউনিয়ন, বিএসসিআই, জিওটিএস কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত কমপ্লায়েন্ট কারখানা এটি। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানা থেকে এখন প্রতিবছর গড়ে ছয় কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়। এখানকার নিয়মিত ক্রেতা প্রতিষ্ঠান হলো সুইডেনের এইচএন্ডএম, বেলজিয়ামের সিএন্ডএ, জার্মানির ইংলেবার্ট স্ট্রস, রাশিয়ার স্পোর্টমাস্টার ও স্পেনের জারা।
এদিকে কারখানা এলাকার মধ্যেই একপাশে গড়ে উঠছে একটি প্রি-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং। এটি যুক্তরাষ্ট্রের লিড কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত গ্রিন বিল্ডিং। এই বিল্ডিং তৈরি হলে এখানে আরো আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান আকবর হায়দার। এ শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে পোশাক শিল্প সঠিক পথেই এগুচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বিজিএমইএ ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তার চেয়েও বেশি রফতানি হবে।’
সানবিডি/ঢাকা/রাআ