মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন বিষয়ে করা রিটের ওপর জারিকৃত রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। অধিকারের পক্ষে রিটটি না চালানোর বিষয়ে অবহিত করার পর বুধবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজের আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম।
শুনানিকালে রিটকারীদের আইনজীবী আদালতকে জানান, আজ রিটের বিষয়ে রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ আছে। আমরা রিটটি চালাতে চাই না। কারণ, অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ৫ জুনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।
এরপর আদালত রিটটি খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন-প্রসিকিউশন) করে দেন।
এর আগে, ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন নবায়নে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে। কিন্তু এই আবেদনে সাড়া না পেয়ে নিবন্ধন নবায়নের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৩ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
রুলে ২০১৪ সালে করা ওই আবেদন মঞ্জুরের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং আইন অনুসারে নিবন্ধন দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চান হাইকোর্ট।
এদিকে চলতি বছরের ৫ জুন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো অধিকারের আবেদন নামঞ্জুর করে। ফলে পূর্বের রিট আবেদনের সঙ্গে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার একটি সম্পূরক আবেদন জানান।
এএ