চলতি ২০২২ বছরের প্রথমার্ধে চীনের ইস্পাত রফতানি কমে গেছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে জুনে চীনের ইস্পাত আমদানি কমেছে ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চীনে ইস্পাতের উৎপাদনও এ বছরে ২-৩ শতাংশ কমে যাবে।
অন্যভাবে বলতে গেলে চীন এখন ইস্পাত উৎপাদন, বিক্রি ও ক্রয় কম করছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইস্পাত উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী চীনের এ পরিস্থিতি একটি বড় অর্থই প্রকাশ করছে।
ইস্পাতের উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা তৈরি করেছে কভিড-১৯-সংক্রান্ত লকডাউন ও সরবরাহের বাধা। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটের তথ্য বলছে, চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মন্থর এবং ভোক্তাদের আত্মবিশ্বাসও অনেকটাই কমে গেছে। চীনের সরকার এরই মধ্যে কর রেয়াতের মাধ্যমে আর্থিক সমর্থন বাড়িয়ে এবং নতুন নতুন অবকাঠামোয় খরচ বাড়িয়ে এক্ষেত্রে সহায়তার হাত আরো প্রসারিত করার চেষ্টা করেছে। তার পরও যেহেতু অন্যসব চাহিদা কমে গেছে, তাই সেখানে ইস্পাতের চাহিদাও অনেকাংশে কমে গেছে।
এনজে