‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) রেজিস্ট্রেশন সম্ভব হওয়ায় ঘরে বসেই বিদেশ যেতে আগ্রহী কর্মীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন। এ কারণে বিএমইটি তথ্যভান্ডারে রেজিস্ট্রেশন বেড়েছে প্রায় ৩৫০ শতাংশ।
‘আমি প্রবাসী’ একটি মোবাইল অ্যাপ ও রিক্রুটিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, যার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ অভিবাসনপ্রক্রিয়াকে এর সঙ্গে জড়িত ও সব স্টেকহোল্ডারের জন্য ডিজিটালাইজ করা। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ঘরে বসে নিরাপদভাবে বিদেশে চাকরি নিয়ে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিএমইটির তথ্যভান্ডারে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করেছে।
‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আর দালাল কিংবা মধ্যস্বত্বভোগীদের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে না। ফলে ব্যাপক হারে তাঁদের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ সমগ্র অভিবাসনপ্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজ করতে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, যেন খরচ কমিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দালাল ও প্রতারক থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। ‘আমি প্রবাসী’র কাজের সীমারেখার মধ্যে আছে বৈধ চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, চ্যাট–সুবিধা, নিয়োগকারীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ, ট্রেনিং কোর্স, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সরকারি ধাপগুলো সম্পন্ন করার সুযোগসহ আরও অনেক কিছু।
শিগগিরই ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে প্রিডিপার্চার ওরিয়েন্টেশন (পিডিও), বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স এবং কিউআর কোডনির্ভর স্মার্ট কার্ডের আরও কিছু সরকারি পরিষেবা যুক্ত হতে যাচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে একজন অভিবাসনপ্রত্যাশী কর্মী কোনো দালালের সহায়তা ছাড়াই নিরাপদে এবং আরও সাশ্রয়ে বিদেশে উপযুক্ত চাকরির সন্ধান করতে পারবেন।
সার্ভিস চার্জ মডেলে পরিচালিত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ সরকারের ওপর অতিরিক্ত কোনো ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে না। প্ল্যাটফর্মটিতে বেশ কিছু নতুন পরিষেবা যুক্ত হয়ে নিয়োগকারী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য অভিবাসনের প্রক্রিয়া হচ্ছে অধিকতর ডিজিটালাইজ।
২৫ লাখেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সঙ্গে নিয়ে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ বর্তমানে বিদেশে চাকরি প্রাপ্তি এবং এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন পর্যন্ত সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও দরকারি অনেক কাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২০২১ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা ‘আমি প্রবাসী’ ২৫ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে আজ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী, রিক্রুটিং এজেন্সি এবং সরকারি স্টেকহোল্ডারদের জন্য একটি দ্রুত বর্ধনশীল প্ল্যাটফর্ম। ব্যবহারকারীদের জন্য ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলক সরকারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির দ্বারা বিদেশে বৈধ চাকরির সন্ধান এবং ট্রেনিং কোর্স ও বিদেশে গিয়ে কাজ করতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে ‘আমি প্রবাসী’ সম্পূর্ণ অভিবাসনপ্রক্রিয়ায় ব্যবহারকারীদের স্বায়ত্তশাসন, স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
বিদেশি নিয়োগকারীরা শিগগিরই ‘আমি প্রবাসী’ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হবে। এতে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সরাসরি তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ বিদেশযাত্রা স্বচ্ছভাবে সম্পাদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের অ্যাটাসটেশন, ফিচার এবং বিদেশি চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সুবিধাও এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের কোনো ধরনের ব্যয় ছাড়াই প্রস্তুতকৃত অ্যাপের সব ভ্যালু অ্যাডেড পরিষেবা এবং রিক্রুটমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম—উভয়ই সার্ভিস চার্জ মডেল অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে।
এএ