বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বছর ১৭ জুলাই নেদারল্যান্ডসের আমস্টার্ডাম শহর থেকে কুয়ালালামপুর যাবার পথে বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর অধিকাংশই ছিলেন ডাচ নাগরিক।
যুদ্ধবিক্ষুব্ধ পূর্ব ইউক্রেনের ওপর দিয়ে ওড়ার সময় একটি সোভিয়েত বিইউকে মিসাইলের আঘাতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
পশ্চিমা দেশগুলো এবং ইউক্রেন ঘটনার পর অভিযোগ করেছিল যে রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীরাই বিমানটিকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু রাশিয়া দাবি করে যে, ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকেই মিসাইলটি ছোঁড়া হয়েছিল।
সরকারি এই তদন্ত রিপোর্টে অবশ্য কারা ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুঁড়েছিল তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কাউকে দোষারোপ করা হয়নি। তবে বলা হয়, যাত্রীবাহী বিমানের জন্য ওই সংঘাতপূর্ণ এলাকাটির আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল - যা ইউক্রেন করেনি।
একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র-নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলছেন, ১৯৮৬ সালেল আগে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি ২৫ বছরের বেশি পুরোনো হওয়ায় তা রাশিয়ার ব্যবহারের অযোগ্য ছিল।
রিপোর্টে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত করার সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভবত বিমানের আরোহীরা সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন, তাই তারা হয়তো কোন যন্ত্রণা অনুভব করার আগেই মারা গেছেন।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ