সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মহামারি করোনাকালীন সময়ে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে এসেছেন প্রায় ৫ লাখ কর্মী। তবে তাদের মধ্যে কতজন আবারও বিদেশ গেছেন তার তথ্য নেই কারও কাছে। ২০২০ সালের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে কোনও কর্মী বিদেশ যেতে পারেনি। তাছাড়া পরবর্তী সময় ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মী গেছেন ৩৬ হাজার ৪৫১ জন।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আবারও পুরোদমে কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ। তবে মধ্যপ্রাচ্য এবং সিঙ্গাপুরে এই কর্মী যাওয়ার হার ছিল আগের তুলনায় বেশি। ওই বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মী গেছে ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন। অর্থবছরের হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরে কর্মী গেছে ২ লাখ ৮০ হাজার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৯২০ জন। করোনাকালেও রেকর্ডসংখ্যক কর্মী যাওয়া শুরু করে গত বছরের নভেম্বর থেকে। নভেম্বরে এক লাখ ২ হাজার ৮৬৩ জন কর্মী বিদেশ যায়। এরপর নভেম্বরের রেকর্ড ভাঙ্গে ডিসেম্বরে। সেই রেকর্ড ভেঙ্গে গত মার্চে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি কর্মী যায় বিদেশে। গত ৭ মাসে বিদেশে কর্মী গেছে ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৭ জন। আর আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১৩ বছরে বিদেশে কর্মী গেছে ৭৩ লাখের বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র (বিএমইটি) সূত্রে জানা যায়, এর আগে ২০১৭ সালের মার্চে এক লাখের বেশি কর্মী বিদেশে গেছেন। ওই বছর মোট গিয়েছিলেন ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন, যা ছিল দেশের জন্য রেকর্ড। পরের বছর ২০১৮ সালে সাত লাখ ৩৪ হাজার এবং ২০১৯ সালে সাত লাখ কর্মী বিদেশে যায়।
এনজে