রাজশাহীতে পাটের ভালো দামে কৃষকের খুশি

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-০৮-০৮ ১৩:১০:১৫


রাজশাহীর হাটগুলোতে পাট উঠতে শুরু করেছে। ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা খুশি। বর্তমানে মণপ্রতি পাট বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকায়। গত বছর ছিল ২২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা। শুরুতে দাম ভালো হওয়ায় পাট মৌসুমের শেষের দিকে দাম আরও বাড়বে বলে ধারণা কৃষকদের।

রাজশাহী পবা উপজেলার নওহাটা বাজারে নতুন পাট নিয়ে আসছেন কৃৃষকরা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। এখন হাট-বাজারে পাটের আমদানি বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাটকলগুলোতে বেড়েছে পাটের চাহিদা। এ কারণে প্রতি হাটেই পাটের দাম বাড়ছে। ভালো দাম পেয়ে খুশি পাটচাষিরা।

এবার শুরুতে পাটের দাম ভালো হলেও কাটার পর পচাতে দিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বর্ষাকালেও তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিল-পুকুরে পানি ছিল না। এর ফলে পাট জাগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছিল। মধ্য শ্রাবণের বৃষ্টিতে সেই সমস্যার কিছু সমাধান হয়েছে। অনেকে সেচ দিয়ে পাট জাগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী পাট অধিদফতরের মুখ্য পরিদর্শক নাদিম আক্তার জানান, এ বছর রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে তোষা পাট আবাদ হয়েছে। জেলায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার হেক্টর। গত বছর ছিল ১৫ হাজার হেক্টর এবং পাটের আবাদ হয়েছিল ১৯ হাজার ৩৮ হেক্টর। ইতোমধ্যে জেলার ২৫ ভাগ পাট বাজারে এসেছে। বাজারে পাটের দাম ভালো রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে কৃষকরে সমস্যা হলেও মধ্য শ্রাবণের বৃষ্টিতে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে।

বাজারে পাটের দামের বিষয়ে তিনি জানান, মৌসুমের শুরুতে নওহাটা বাজারে প্রতিমণ পাট ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বানেশ্বর হাটে প্রতি মণ পাট ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত বছর প্রতি মণ পাট মৌসুমের শুরুতে ২২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এবং মৌসুমের শেষের দিকে ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তার আগের বছর পাট মৌসুমের শেষের দিকে ৬ হাজার টাকা দরে পাট বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ‘কৃষকরা পুকুর ভাড়া নিয়ে আবার কেউ কেউ বিঘা প্রতি পুকুরে পাট জাগ দিচ্ছেন। এতে চাষিদের খরচ কিছুটা বাড়ছে। কিন্তু কোনও উপায় নেই। আবাদ করলে একটু খরচ-কষ্ট করতে হয়। বৃষ্টি না থাকায় মাঠে রোপণ করা পাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন পাটের জন্য বৃষ্টি দরকার। যাদের জমিতে পাট ভালো আছে, তারাও জাগ দেওয়ার পানি নিয়ে সংকটে পড়েছেন। সেচের পানিতে পাট জাগ দিতে চাষিদের অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যাবে।

এনজে