কর্মব্যস্ততার খাতিরে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ডেস্কে বসে কাজ করেন। এক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষেণ বসে থাকার কারণে শরীরের পেশি নড়াচড়া হয় না। আর এ কারণে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
শরীরের নড়াচড়া কম হওয়া কিংবা একঘেয়ে বসে কিংবা শুয়ে থাকার কারণেই কিন্তু হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এখন অল্প বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে গুরুতর সব রোগ।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা বারবার পরামর্শ দেন, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার জন্য। যারা দিনে দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসে সময় কাটান তাদের উচিত কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নেওয়া ও হাঁটাহাঁটি করা, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামা করাসহ গাড়ির বদলে এদিক সেদিক পায়ে হেঁটে চলা করা ইত্যাদি।
অতিরিক্ত বসে থাকা যে কারণে ক্ষতিকর-
হরমোনজনিত ব্রণের ঝুঁকি বাড়ায়
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার এক নম্বর প্রভাব হলো ওজন বৃদ্ধি। আর ওজন বাড়তেই ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা।স্থূলতা ত্বককে উল্লেখযোগ্যভাবে আরও শুষ্ক করে দেয়। এমনকি বেশি ঘাম হওয়ায় লোমকূপের ছিদ্র আটকে যায় ও ব্রণ হয়।
হাড়কে দুর্বল করে দেয়
পেশি ও হাড় হলো জীবন্ত টিস্যু, যা ব্যায়াম করলে আরও শক্তিশালী হয়। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের হাড় নিষ্ক্রিদের তুলনায় আরও মজবুত ও ঘন। অতিরিক্ত যারা বসে থাকেন তাদের হাড় আরও দুর্বল হয়ে যায় এমনকি ঘনত্বও কমে আসে।
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা বাড়ায়
অতিরিক্ত ওজন ও দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে শরীরের যেসব অংশে বেশি চাপ পড়ে সেসব স্থানে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। ত্বকে ঘর্ষণ ও চাপের কারণে ব্রণ মেকানিকা হয়। নিষ্ক্রিয় জীবনধারা ত্বকে ব্রণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
সেলুলাইট সৃষ্টি করে
বর্তমানে বেশিরভাগ অফিস কর্মীরা তাদের কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান। এই নিষ্ক্রিয় জীবনধারা শরীরে পানি ধরে রাখার অন্যতম কারণ। বিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘসময় বসে থাকার ফলে রক্তের প্রবাহ কমে যায় ও এর ফলে সেলুলাইটের সৃষ্টি হয়।
ভেরিকোজ শিরার কারণ
হাঁটার সময় আমাদের পায়ের পেশিগুলি সংকুচিত হয়, নমনীয় হয় ও নীচের পায়ের প্রধান রক্তনালিগুলোতে চাপ প্রয়োগ করে। তবে দীর্ঘসময় বসে থাকার ফলে রক্ত সঞ্চালন হয়, যা ভেরিকোজ শিরার সমস্যার সৃষ্টি করে।
সূত্র: ব্রাইট সাইড
সানবিডি/এমআর