নুরুল ইসলাম খলিফা: এ শহর সম্পর্কে অনেক পড়েছি, অনেক শুনেছি, অনেক কল্পনা করেছি। তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ বাংলাদেশের মানুষের কাছে এ শহর এক রূপকথার নগর, এক স্বপ্নের মায়াপুরী। লন্ডন বসবাস করেন এমন একজন লোকের দেখা পেলে তার দিকে একটু বিশেষভাবে তাকানো একটা স্বাভাবিক ব্যাপার আমাদের দেশে তাতে তার পেশা বা কর্মক্ষেত্র যাই হোক না কেন।
এ শহরের বুকে পা দিয়ে আমার হৃদয়েও একটি তড়িৎ প্রবাহ বয়ে গেল যেন। গ্রেট বৃটেন, সিংহ হৃদয় রাজা রিচার্ড এর দেশ। ক্রুসেডের লড়াইয়ে সুলতান সালাহউদ্দিনের প্রতিপক্ষ। দু’জনই দুজনের শত্রু, দুজনই বীর যোদ্ধা। একই সাথে মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। মরণাপন্ন রিচার্ডের চিকিৎসা করলেন ছদ্মবেশী সুলতান। জানের দুশমনকে চিকিৎসা করে সুস্থ্য করে তুললেন।
মহৎ মনের মানুষ রাজা রিচার্ড যখন বিষয়টি জেনে গেলেন তখন শত্রুতা পর্যবসিত হলো বন্ধুত্বে। ইতিহাস সাক্ষী রিচার্ড ও সালাহ উদ্দিন বেঁচে থাকতে ক্রুসেডের এ লড়াই বন্ধ ছিল। এই গ্রেট বৃটেন যেখানে জন্ম হয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর।
লর্ড ক্লাইভ ইংল্যান্ডের ইতিহাসের মহানায়ক যদিও ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের খলনায়ক যার কূটকৌশলের কাছে বাংলার স্বাধীনতা ২০০ বছরের জন্য ইংরেজ বেনিয়াদের হাতে চলে গেল। এখানে জন্ম নিয়েছেন শেক্সপিয়ার, ওয়ার্ডস ওয়ার্থ, শেলী, বায়ররনসহ পৃথিবীখ্যাত কবি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিকগণ।”
… বিলেতের পথে।