প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফর করবেন।
প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। যার মধ্যে থাকছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সফরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, সে সময় তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি পৌঁছাবেন। সেদিন দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসে ভারতীয় অতিথিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন।
দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিন ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার আগে তিনি দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেবেন। সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং সমঝোতা স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরকালে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন বিকেলে আজমীর শরীফে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতির মাজার জিয়ারত করবেন। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর জয়পুর শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
দীর্ঘ তিন বছর পর ভারতে এই রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার আগে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আসন্ন ভারত সফর উভয় দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। আশা করা হচ্ছে তার এই সফরের মাধ্যমে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এএ