গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়াই বাজারে আসতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। তবে দাম আকাশছোঁয়া। গত সপ্তাহে কমলেও এ সপ্তাহে বেড়েছে মসুর ডালের দাম। গ্রীষ্মকালীন সবজির উপস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। বাজারে উঠেছে গ্রীষ্মকালীন সবজি সজনে ও ধুন্দল।
আজ রাজধানীর পলাশী, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এবং খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজারে নতুন সবজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। ধুন্দল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও যা বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। শশা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ও চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পেপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি ফালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম নেয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে গত একমাস ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও এ সপ্তাহে দাম কমে এসেছে। ব্যবসায়ীরা জানান দেশি পেঁয়াজের দাম না কমলেও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। তবে দেশি শুকনা পেঁয়াজের সরবরাহ এখনও শুরু না হওয়াই দেশি পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশিটার দাম নেয়া হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি।
রসুনের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। গত সপ্তাহের ন্যায় এ সপ্তাহেও দেশি রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে আমদানীকৃত চীনা রসুন আগের চড়া দামেই অর্থাৎ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
ডিমের বাজারেও গত সপ্তাহের সাথে দামের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। খামারের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা প্রতি হালি। এছাড়া দেশি মুরগীর ডিম ৪০ থেকে ৪২ এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হালি দরে। গত সপ্তাহের থেকে এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কক ও সোনালি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস আগের মতোই ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি দেশি রুই মাছ আকারভেদে ১৮০ টাকা ২৮০ টাকা, আমদানিকৃত রুই ১৭০ থেকে ২৬০ টাকা, কাতলা আকারভেদে ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, চিংড়ি ছোট ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বড় ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কৈ ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ৮০০ এবং ইলিশ আকারভেদে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে মানভেদে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। আর নাজিরশাইল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর প্রতি কেজি খোলা আটা ২৫ থেকে ২৮ টাকা, প্যাকেট ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, খোলা ময়দা ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, প্যাকেট ৪০ থেকে ৪৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। গত সপ্তাহে দাম কিছুটা কমলেও এ সপ্তাহে বেড়েছে মসুর ডালের দাম। দেশি চিকন মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। আর আগের চড়া দামেই চিনি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৫৫ টাকায়। আর এক লিটারের দাম নেয়া হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।
সানবিডি/ঢাকা/আহো