[caption id="attachment_630" align="alignright" width="513"] বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ফাইল ছবি[/caption]
দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা নিশ্চিত করা গেলে, উন্নয়নে কোন সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছিল, তা সফল ভাবে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশে^ বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাবার রোল মডেল।
রোববার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার এন্ড কমার্স আয়োজিত “সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ঃ চ্যালেঞ্জজেস ফর বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং কঠোর পরিশ্রম করে সফলভাবে দেশের বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার চাহিদা মোতাবেক ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিদা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ে বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্যবসায়িদের সাথে নিয়মিত ভাবে বসে পরামর্শ করে ব্যবসার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশে নিজস্ব অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশিলতা নিশ্চিত করা গেলে, উন্নয়নে কোন সমস্যা নেই।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে। দেশের রপ্তানি, রিজার্ভ, রেমিটেন্সসহ সকল অর্থনৈতিক সূচকই উর্ধ্বমূখী। এখন চ্যালেঞ্জ হলো এগিয়ে যাবার। দেশের গ্রামীন উন্নয়ন এখন চোখে পরারমত। দেশের মানুষ খুশি। বাংলাদেশ এখন কোন তলাবিহিন ঝুড়ি নয়, মিরাক্কেল। বাংলাদেশ এখন পাকিস্থান থেকে সকল ক্ষেত্রেই এবং ভারতের সাথে কিছু ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছিল, সে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে এসেছে। দেশের তৈরী পোশাক নিয়ে চ্যালেঞ্জ অনেক। শ্রমিকদের অধিকার ও শ্রম আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, অথচ কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কোন অভিযোগ নেই। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং প্রাপ্ত বেতনে সন্তুষ্ট। কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করে শ্রমিকরা খুশি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের রপ্তানি আয় দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে, এরমধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আসবে শুধু তৈরী পোশাক রপ্তানি থেকে। দেশব্যাপী ১০০টি স্পেশাল ইকনমিক জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০টির কাজ শুরু হয়েছে। দেশে এখন গ্রীন ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা বাড়ছে।
আলোচনা সভায় কী-নোট উপস্থাপন করেন বিশ^ব্যাংক ঢাকা অফিসের লিড ইকনমিষ্ট ড. জাহিদ হোসেন। আইসিসি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি. মির্জা মো. আজিজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টি’্রর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সিপিডির নির্বাহি পরিচালক প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, ইউএনডিপি-বাংলাদেশ-এর ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেকটর নিক বারেসফোর্ড।
এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সামনে পাচটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করেন ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সামনে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্থানীয় ও বৈশ্বিক অর্থায়ন, অগ্রাধিকার লক্ষ্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, আর্থিক চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ, এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবার অংশগ্রহণ এবং উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংক গ্রুপ থেকে অর্থ সংগ্রহ।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস