আর্থিক অব্যবস্থাপনার দায় অর্থমন্ত্রী এড়াতে পারেন না মন্তব্য করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দল এ মন্তব্য করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংকিং সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, সর্বেশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে টাকা চুরি হয়ে যাওয়া জাতীর জন্য অশনি সংকেত। বিভিন্ন সময়ে আর্থিক লুটপাটের বিরুদ্ধে বিশেষকরে হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারী সম্পর্কে আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবী করেছিলাম এবং ইব্রাহীম খালেদ তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট এর ভিত্তিতে মূল হোতাদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান অর্থমন্ত্রী নিজের দায় এড়িয়ে এবং রাজনীতির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কোন সুনির্দিস্ট ব্যবস্থা নিলেন না। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনার ইস্যুটিকে ঘিরে অর্থমন্ত্রী কাজের চেয়ে কথা বেশি বলছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রকারন্তরে নিজ দায় ঢাকার চেষ্টা করছেন। পত্র-পত্রিকার সাক্ষাৎকারে সেকথা স্পষ্টভাবে এসেছে। অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় ব্যংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমানকে পদত্যাগ করার কথা বলছেন অথচ হলমার্ক কেলেঙ্কারী ঘটনা ব্যাংকের ৪৫০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনাকে তিনি কিছুই না বলে অভিহীত করেছেন, বিশ্বব্যাংক টাকা দেবে এই প্রতিশ্রুতিতে পদ্মা সেতুর কাজ ৬ মাস ঝুলে ছিল। আমরা পরিস্কারভাবে মনে করি সাংবিধানিক বিধানমতে অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় দায়-দায়িত্ব এবং রাষ্ট্রীয় আর্থিক ব্যবস্থার সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা প্রধানত দায়িত্ব অর্থমন্ত্রীর। অপরাধী চিহ্নিত করা হোক আমরা তা চাই। কিন্তু তার মানে এই নয় অর্থমন্ত্রী দায় এড়িয়ে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজের স্বার্থ রক্ষা করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে দল আরো বলে, আমরা মনে করি যে কোন সভ্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর দায় স্বীকার করে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।