প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। ফিক্সড ডিপোজিট রিসিট (এফডিআর) হিসাব থেকে বিপুল অঙ্কের এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সোমবার ব্যাংটির সিনিয়র অফিসার রাজিব হাসানের কাছ থেকে এসব টাকা উদ্ধার করা হয়। রাজীব হাসান মতিঝিলের লোকাল অফিসে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, রাজিব হাসানের ধানমণ্ডির বাসা থেকে বস্তাভর্তি ৭৮ লাখ, তার ডেস্কের ড্রয়ার থেকে ১৫ লাখ এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এর বাইরে তার অ্যাকাউন্টে বিপুল অংকের টাকা জমা ও উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জনতা ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল অফিসের ওই সিনিয়র কর্মকর্তা এফডিআরের (ফিক্সড ডিপোজিট রিসিট বা স্থায়ী আমানতপত্র) অর্থ তুলে নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিশেষ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশেষ স্কোয়াড তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে চুরির বিষয়টি প্রমাণিত হলে চাকরি হারাবেন রাজীব হাসান।
জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা ব্যবস্থাপক ড. ফরজ আলী বলেন, বিশেষ স্কোয়াডের তদন্ত শেষে তাদের সুপারিশ অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, চুরির টাকা গ্রাহকের নয়, শাখার নিজস্ব হিসাব থেকে ভাউচারের মাধ্যমে টাকা চুরি হয়েছিল। হিসাব-নিকাশ করে সঠিকভাবে ডেবিট-ক্রেডিট অ্যাডজাস্ট করা হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে রাজিব হাসান দীর্ঘদিন ধরে এফডিআর অনুবিভাগে কাজ করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভাউচার দিয়ে টাকা তুলেছেন। রবিবার বিকালে ভাউচারে গরমিল দেখতে পান অন্য কর্মকর্তারা। এরপরই বেরিয়ে আসে এফডিআরের নামে ভাউচার দিয়ে বিপুল অংকের টাকা তুলে নেওয়ার কাহিনী।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ