প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জনগণের জন্য মানসম্মত খাদ্য ও পণ্য সরবরাহে বদ্ধপরিকর। মুক্ত বাজার অর্থনীতির যুগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই।
আগামীকাল শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ‘বিশ্ব মান দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) অর্জনের জন্য লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলছে। শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে পরিবেশবান্ধব ও রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি টেকসই শিল্পসমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করতে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক শিল্পায়নের চলমান ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর উদ্যোগে ‘বিশ্ব মান দিবস’ পালনের আয়োজনকে প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান। এবারের বিশ্ব মান দিবসে গত ২০২১ সালের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে- মান’ এবারও বহাল রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণ। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্ব ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অরগাইনেজেশন ফর স্ট্যান্ডার ডাইজেশন (আইএসও) এবং ১৯৭৫ সালে কোডেক্স এলিমেনটেরিয়াস কমিউশান (সিএসি) এর সদস্য পদ অর্জন করে।
বৈশ্বিক মহামারির মতো প্রতিকূলতা কাটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিধারা অব্যাহত রেখে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশীয় ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা ও আমদানিকারকগণ মানসম্মত পণ্য উৎপাদন, বিক্রয়-বিতরণ ও আমদানি-রফতানিতে অধিকতর মনোযোগী হবেন এবং জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা করেন।
তিনি বিশ্ব মান দিবস গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
এএ