বেশি সওয়াবের আশায় গলা কেটে হত্যা !

আপডেট: ২০১৫-১০-১৫ ২০:৪০:০৭


index-2_87037_0জেএমবি নেতা মিঠুর নেতৃত্বেই খুন করা হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খানকে। পীর দরবেশ ও ফকিরকে টার্গেট করে হত্যা করাই তাদের প্রধান কাজ হয়ে ওঠে। গত দুই বছর ধরেই তারা এই কাজ করে আসছিল। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম আজ সাংবাদিকদের একথা জানান।

মনিরুল ইসলাম  বলেন, খিজির খানের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। যারা খিজির খানকে হত্যা করেছে তারা গত দুই বছর ধরেই এসব কাজ করে আসছিল। তাদের খুনের টার্গেট হল পীর, দরবেশ ও ফকিররা। তাদের টার্গেট করেই তারা খুন করেন। তারা খুনের কাজে কখনও অগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতো না। কারণ তারা মনে করে জবাই করে খুন করলে বেশি সওয়াব হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন তারিকুল ইসলাম ওরফে মিঠু (৩০) ও আলেক বেপারি (৩৫)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিঠুকে টাঙ্গাইল থেকে ও বুধবার দিবাগত রাতে  আলেক বেপারিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার কর হয়। গ্রেপ্তারকৃত মিঠু জেএমবি নেতা এবং তার নেতৃত্বেই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, মতাদর্শের কারণে তারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। তিনি বলেন, খুনের একটু আগে গাড়িতে করে চারজন ঘটনাস্থলে আসে এবং আরও চারজন আগেই হাজির হয়। মোট আট জন এ খুনে অংশ নেয়। খুনীরা দুই ভাগে বাসায় প্রবেশ করে, এক দল বাইরে থাকেন আরেক দল ভিতরে ঢোকে। বাইরে থাকা চার জন সংকেত পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এবং হত্যাকান্ড ঘটিয়ে বেরিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, খিজির খান হত্যার অন্যতম খুনী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক। তবে জঙ্গিদের কাছে সে মিঠু নামেই পরিচিত। মিঠু ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা মামলায় চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হয়ে ৫ বছর কারাভোগ করে।

পরে কারাভোগের পরে সে জামিনে বেরিয়ে আসে।এছাড়াও এই মিঠু ছিলেন জঙ্গিদের সুইসাইড স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য। অপরদিকে খিজির খান হত্যার আরেক আসামি আলেক বেপারী। সে জঙ্গির সঙ্গে পদে না থাকলেও তাদেরেই সদস্য। তিনি মুলত একজন ড্রাইভার।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বলেন, যে দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে তার একটি খিজির খানের ছেলে অপরটি তার পুত্রবুধ ব্যবহার করতেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের  উত্তর বিভাগের উপ-কমিনার শেখ নাজমুল আলম, পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার মাহবুল আলম, দক্ষিণের উপ-কমিশনার মাশরেকুর রহমান খালেদ ও পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ