ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল। এমন সমীকরণ সামনে নিয়ে খুব বেশি সুবিধাজনক বোলিং বা ফিল্ডিং করতে পারলো না নিউজিল্যান্ড। কিউইদের আটকিয়ে নিজেদের সেমিফাইনাল যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে ১৮০ রানের টার্গেট দিয়েছে ইংল্যান্ড।
ব্রিসবেনের গ্যাবায় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত শুরু ইংল্যান্ডের। জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস চড়াও হন ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির ওপর। এই দুই বোলারের কাছ থেকে প্রথম তিন ওভারেই ২১ রান আদায় করে নেন দুই ওপেনার।
তাদের থামাতে চতুর্থ ওভারে স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের হাতে বল তুলে দেন কেন উইলিয়ামসন। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান তুলতে পারেন বাটলার, হেলস। সাউদি পঞ্চম ওভারে বল হাতে নিয়েই আবারও মার খেলেন, হেলস একটি ছয় ও দুটি চারে নেন ১৫ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে স্যান্টনারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৮ রানের বেশি হয়নি। প্রথম ৬ ওভার শেষে ৪৮ রান ইংল্যান্ডের।
সপ্তম ওভার থেকে কমে যায় ইংলিশদের রানের গতি। ওই ওভারের তৃতীয় বলে লকি ফার্গুসনকে একটি ছক্কা মারেন বাটলার। পরের বাউন্ডারি এসেছে ১৬ বল পর। ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ৭৭ রান। ১১তম ওভারে হেলস চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেন, পরের বলে স্যান্টনারের শিকার হন পেছনে ডেভন কনওয়েকে ক্যাচ দিয়ে। ৪০ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫২ রান করেন তিনি।
মঈন আলী বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তার বিদায়ের আগে ফার্গুসনের দ্বিতীয় ওভারে ১৪ রান তুলে নেন বাটলার। ৩৫ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনিও।
শেষ দিকে গিয়ে শুরুর ঝড় ধরে রাখতে পারেনি ইংল্যান্ড। সম্ভাব্য স্কোর ১৯০-এর ঘরে উঠবে বলে ধরা হলেও তা হয়নি। ১৯তম ওভারে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে বোলার্স এন্ডে রান আউট হন বাটলার, ৪৭ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭৩ রান করেন তিনি। একই ওভারে সাউদিকে ছক্কা মারার পরের বলে হ্যারি ব্রুক বিদায় নেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে ক্যাচ দিয়ে।
লিয়াম লিভিংস্টোন জ্বলে ওঠার ইঙ্গিত দিয়ে আগের ওভারে ফিরে যান। ১৪ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২০ রান করে থামেন তিনি ফার্গুসনের বলে।
শেষ ওভারে স্যাম কারান ছক্কা মেরে স্কোর ১৭০ ছাড়ান। ফার্গুসনের ইয়র্কারে বেন স্টোকস (৮) এলবিডব্লিউ হলে শেষ বলে ডেভিড মালান তিনটি রান নিয়ে স্কোর একশ আশির কাছে নেন।