আমদানি করা চিনির পর এবার রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন (লাল চিনি) দেশি চিনির দাম কেজিপ্রতি ১৪ টাকা দাম বাড়ানো হলো। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা মাযহার উল হক খান।
মাযহার উল হক খান বলেন, ‘চিনির দাম সমন্বয় করা হয়েছে। আগে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল ৮৫ টাকা। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৯৯ টাকা করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। যা এক মাস আগে ছিল ৯০ থেকে ৯২ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলোতে উৎপাদন করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চিনি বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। গ্যাস সংকটের অজুহাতে বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে মিল মালিকেরা। এতে এই পণ্যটির দাম ক্ষেত্র বিশেষে ১২০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি চিনির দাম আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।
এএ