আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১ এ নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে জিতল। আইরিশদের ৩৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল কিউইরা।
৫ ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করল দলটি। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ম্যাচ জিতে সমান পয়েন্ট পেলেও রানরেটে কিউইদের পেছনে ফেলা বেশ কঠিন। তবে অপেক্ষা করতে হবে শেষ দুটি ম্যাচের ফলের দিকে।
কেন উইলিয়ামসনের ৩৫ বলে ৬১ রানের ইনিংসে নিউ জিল্যান্ড ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ করে। শেষ দিকে জশ লিটল হ্যাটট্রিক করে তাদের থামালেও এই রান পেরোতে পারেনি আইরিশরা।
নিউজিল্যান্ডের তিন পেসার টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্টের পেস ভালোভাবে সামাল দিচ্ছিলেন আয়ারল্যান্ডের দুই ওপেনার অ্যান্ডি বালবির্নি ও পল স্টার্লিং। প্রথম ৬ ওভারে দুজনে তোলেন ৩৯ রান।
এরপর মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি বল হাতে নিয়ে দেন ১৩ ও ১৬ রান। পেসারদের পর এই দুই স্পিনারও যেন কূল কিনারা পাচ্ছিলেন না। তবে পরের তিন ওভারে দুজন ৩ ব্যাটসম্যানকে মাঠ ছাড়া করে স্বস্তি ফেরালেন।
নবম ওভারে বালবির্নিকে বোল্ড করেন স্যান্টনার। ২৫ বলে ৩ ছয়ে ৩০ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক। পরের ওভারে স্টার্লিংও কুপোকাত। ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৭ রান করে সোধির কাছে বোল্ড তিনি।
স্যান্টনার তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় শিকার বানান হ্যারি টেক্টরকে। ৭ বলে ২ রান করে সাউদির ক্যাচ হন তিনি। কোনও উইকেট না হারিয়ে ৬৮ রান করা আয়ারল্যান্ড ৭৩ রানে হারায় ৩ উইকেট।
১০০ করার পথে আরেকটি উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ফার্গুসন ১০ রানে ডিলানিকে ডেভন কনওয়ের ক্যাচ বানান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেছে আইরিশদের, সঙ্গে বেড়েছে প্রয়োজনীয় রানরেট।
নিজের শেষ ওভারে লরকান টাকারকে (১৩) ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন সোধি। এরপর শুরু পেসারদের উইকেট উৎসব। কুর্টিস ক্যাম্ফারকে (৭) ফিন অ্যালেনের ক্যাচ বানান সাউদি। নিজের শেষ ওভারে ফার্গুসন তিন বলের মধ্যে ফিওন হ্যান্ড (৫) ও জর্জ ডকরেলকে (২৩) প্যাভিলিয়নে পাঠান।
লক্ষ্য বাড়তে বাড়তে শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৪৫ রান। প্রথম বলেই সাউদি অ্যাডাইরকে (৪) গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ বানান। চতুর্থ বলে লিটল ছয় মেরে গ্যালারি মাতান। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে থামে আয়ারল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড তাদের লক্ষ্য দিয়েছিল ১৮৬ রানের।
ফার্গুসন ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান স্যান্টনার, সাউদি ও সোধি।
এম জি