বাংলাদেশে হেমন্তকাল ফসলের ঋতু। তাই কৃষকরা কার্তিক মাসে মাঠে ব্যস্ত থাকেন কাজে-কর্মে। সোনালি গমের সুঘ্রাণে ভরে থাকে বাংলার মাঠ-প্রান্তর। কৃষক মেতে ওঠেন ঘাম ঝরানো সোনালি ফসল নিয়ে। সেইসঙ্গে শীতকালীন ফসলের প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করতে হয় এখনই।
আসুন জেনে নেই কার্তিক মাসে গম চাষে কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে-
১. কার্তিক মাসের দ্বিতীয় পক্ষ থেকে গম বীজ বপনের প্রস্তুতি নিতে হয়।
২. কার্তিকের শেষ থেকে অগ্রহায়ণের তৃতীয় সপ্তাহ বা নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত।
৩. দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে গম ভালো হয়।
৪. গম চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি জমি বেশি উপযোগী।
৫. বেশি ফলনের জন্য গমের আধুনিক জাত, যেমন- আনন্দ, বরকত, কাঞ্চন, সৌরভ, গৌরব, আকবর, অগ্রণী, প্রতিভা, সোনালিকা, শতাব্দী, সুফী, বিজয়, বারি গম-২৭, বারি গম-২৮ রোপণ করতে পারেন।
৬. বীজ বপনের আগে অনুমোদিত ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নিতে হবে।
৭. সেচযুক্ত চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ১৬ কেজি এবং সেচবিহীন চাষের জন্য বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি বীজ বপন করতে হবে।
৮. জমি চাষ করার সময়ই প্রতি শতকে ৩০-৪০ কেজি জৈব সার প্রয়োগ করা ভালো।
৯. ইউরিয়া ছাড়া অন্য সার জমি তৈরির শেষ চাষের সময় এবং ইউরিয়া তিন কিস্তিতে উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।
১০. বোনা গমের ক্ষেত্রে প্রথম সেচ দেওয়ার আগে নিড়ানির সাহায্যে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
১১. বীজ বপনের ১৩-২১ দিনের মধ্যে প্রথম সেচ প্রয়োজন।
১২. এরপর প্রতি ৩০-৩৫ দিন পর ২ বার সেচ দিলে খুব ভালো ফলন পাওয়া যাবে।
১৩. গমে পোকার আক্রমণ হলে কৃষি কর্মকর্তার বা মাঠকর্মীর পরামর্শ নেবেন।
এনজে