গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে ৬ মাসের শিশু মাহাদী হাসানকে অপহরণের পর বিক্রি করে দেন জিনা বেগম (২৮) ওরফে লতা বেগম নামে এক নারী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অপহরণের পর বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ওই শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় ২ নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব পরিচিতির সুবাদে শিশুটিকে সুযোগ বুঝে অপহরণ করে নিয়ে যায় জিনা বেগম। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা ইদ্রিস মণ্ডল বাদী হয়ে জিনা বেগমকে আসামি করে পূবাইল থানায় একটি অভিযোগ করেন একইদিন রাতে।
বাদী মো. ইদ্রিস মণ্ডল (৫০) জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার পোড়াবাড়ি গ্রামের রশিদ মণ্ডলের ছেলে।
অপহরণকারী ও শিশুটির বিক্রেতা আসামি জিনা বেগম নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার নোয়াগাঁও গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে। বর্তমানে পূবাইল থানার ৪০নং ওয়ার্ডের কুদাব এলাকার ইসমাইল হোসেনের ভাড়াটিয়া। অপর আসামি শিশুটির ক্রেতা আঁখি বেগম টঙ্গী পূর্ব থানার আমতলী কেরানীরটেক বেলতলী মাজার এলাকার সুমনের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার শিশুটি উদ্ধারের সময় জানা যায়, ৬ মাসের শিশু মাহাদী হাসানকে ১৩ হাজার টাকার বিনিময়ে টঙ্গী পূর্ব থানার আমতলী কেরানীটেকের কথিত মাদক কারবারি আঁখি বেগমের (৪০) কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। উদ্ধার করা শিশু মাহাদীকে বুকে ফিরে পেয়ে মা রোকেয়া বেগম আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ ব্যাপারে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নারীও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় কোর্টের মাধ্যমে দুজনকেই গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এম জি