মোবাইল ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণে কাজ করছি : মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২২-১১-১১ ২১:৪৪:৫০


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফিক্সড ইন্টারনেটের ন্যায় মোবাইল ইন্টারনেটের দামও নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফিক্সড ইন্টারনেটের ‘একদেশ একরেট’ উদ্যোগের বাস্তবায়ন দেশে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। আমাদের এই কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় একটি উদ্যোগ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে এ বছর বাংলাদেশ অ্যাসোসিও বৈশ্বিক পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছে।’

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজধানীর তোপখানা রোড়স্থ সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (বিআইজিএফ) আয়োজিত ‘রেজিল্যান্ট ইন্টারনেট ফর সাসটেনেইবল ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।

বিআইজিএফ এর চেয়ারপারসন এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু এমপির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রোজিনা নাসরিন, আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজুয়ানুর রহমান ও বিআইজিএফের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী এ এইচ এম বজলুর রহমান।

পৃথিবীতে এখন পঞ্চম শিল্প বিপ্লব চলছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের সংযুক্তির মহাসড়কের নাম ফাইভ-জি প্রযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথ বেয়ে আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশসহ ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক গড়ে তুলছি। ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক দিয়েই আমরা পঞ্চম শিল্প বিপ্লব করব। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯২ সালে বিনা মাশুলে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ গ্রহণ না করে তৎকালীন সরকারের তথ্যযোগাযোগের মহাসড়ক থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত ছিল রাজনৈতিক অপরিপক্কতা। তবে, অতীতের সকল পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ডিজিটাল যুগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতায় ইন্টারনেট এখন মানুষের জীবনধারায় অনিবার্য একটি বিষয় হিসেবে জড়িয়ে আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ‘

জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে ইন্টারনেটের অবদান অপরিসীম উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেটের বিষয়ে রাজস্বের দিকে তাকালেই হবে না, সভ্যতার অগ্রগতির দিকে সবার আগে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমরা অতিক্রম করেছি, এখন আমাদের পঞ্চম শিল্প বিল্পবের প্রস্তুতি নিতে হবে। ’

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘টেকসই ইন্টারনেট সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য। ‘

তিনি ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানব সম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘সবাইকে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে ডিজিটাল দক্ষতা প্রত্যেককেই অর্জন করতে হবে। ‘

এই অনুষ্ঠানে বক্তারা ইন্টারনেটের বিকাশে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি এবং সহজলভ্য করার ব্যাপারে করণীয় বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এএ