বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ চা উৎপাদনকারী দেশ ভারতের সামনে চায়ের রফতানি বৃদ্ধির নতুন এক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটি কাজে লাগিয়ে চলতি বছর প্রায় ২৩ কোটি কেজি চা রফতানি করতে সমর্থ হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (আইটিএ)। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক চা রফতানি প্রায় ৩৫ কোটি কেজিতে পৌঁছবে বলেও আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
চা রফতানির ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ শ্রীলংকা। তবে বিদ্যমান অর্থনৈতিক টানাপড়েন আর রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশটির চা উৎপাদন কার্যক্রম বড় ধরনের প্রতিবন্ধতার সম্মুখীন। স্বাভাবিকভাবেই চায়ের উৎপাদন কমেছে দেশটিতে। এ অবস্থায় বৈশ্বিক বাজার চাহিদার বিপরীতে ভারতের সামনে চায়ের রফতানি বৃদ্ধির সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই গত বছরের ১৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি ছাড়িয়ে চলতি বছর তা ২৩ কোটি কেজিতে উত্তীর্ণ হবে বলে মনে করছে আইটিএ।
বৃহস্পতিবার আইটিএর সাধারণ সভায় সংস্থাটির চেয়ারপারসন নয়নতারা পাল চৌধুরী বলেন, আশার কথা জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চা রফতানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। আমি আনন্দের সঙ্গে আরো জানাতে চাই, চলতি বছর ইরান, ইরাক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমরা চায়ের রফতানি বাড়াতে সমর্থ হয়েছি। আরো টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এবার আমরা তুরস্ক ও সিরিয়ার বাজার ধরার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি।
মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে রফতানি বৃদ্ধির মাধ্যমে চলতি বছর ২২ কোটি ৫০ কেজি থেকে ২৩ কোটি কেজি রফতানির আশা করছে দেশটি। আইটিএর সেক্রেটারি সুজিত পাত্র বলেন, শ্রীলংকার চা উৎপাদন হ্রাসের কারণে চলতি বছর সিরিয়া, লিবিয়া ও তুরস্কের মতো নতুন বাজারে প্রবেশে সমর্থ হয়েছে ভারত।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে চা শিল্পের বিকাশে ভারতীয় চা বোর্ড সরকারের কাছে ১ হাজার কোটি রুপি সহায়তা চেয়েছে। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান সৌরভ পাহাড়ি বলেন, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা ক্ষুদ্র চা চাষীদের জন্য সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি অর্থোডক্স চা উৎপাদন সম্পর্কিত গবেষণা, প্রযুক্তি এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জতিক বাজারে এর প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ভর্তুকি চেয়েছি।
এনজে