হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আধা ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষ্য দেন তিনি।
এদিন দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে পৌঁছান। এরপর বেলা সাড়ে তিনটার আগে সাক্ষ্য দিতে শুরু করেন। আধা ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষ্য দেওয়া শেষে বেলা ৩টা ৫৮ মিনিটে এজলাস থেকে নেমে যান তিনি। বিকেল ৪টার পরপর তিনি আদালত ত্যাগ করেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
মামলার আসামিরা হলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলাটির বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এম জি